যারা অনলাইন আয় করার চিন্তা করছেন | কিভাবে আয় শুরু করব? আউটসোর্চিং কি

 


আপনাকে বলছি আসলে আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী (ছাত্র-ছাত্রী) বা বাড়িতে অবসর সময় কাটাতে হয় অথবা কোনো চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে এই লেখাটি সম্পুর্ন টাই আপনার জন্য। আপনি যদি আমার এই বিষয়গুলো অনুসরণ করেন তাহলে অবশ্যই আপনি পড়াশোনা এবং বাড়িতে কাজকর্ম অথবা চাকরির করার পাশাপাশি পার্ট টাইম হিসেবে অনলাইন থেকে কিছুটা বাড়তি টাকা আয় করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

এখন বর্তমানে অনলাইন থেকে ইসলাম করার জন্যে আছে হাজার হাজার মাধ্যম। এই অসংখ্য মাধ্যমগুলোর মাঝ থেকে এখন আমি আপনাদের সাথে অনলাইন থেকে মোটামুটি টাকা আয় করবার সহজ কিছু সিস্টেম জানিয়ে দেবো। 

আমি জানি আপনাদের মধ্য অনেকেই হয়তো ছাত্র-ছাত্রী I mean লেখাপড়ার অবস্থাতে আছেন। আমরা যখন স্কুল-কলেজের লেখাপড়া শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করি তখনই কিন্তু আমাদের সবার মাথায় ইনকামের চিন্তাটা চলে আসে। আবার হয়তো অনেকের ক্ষেত্রে তা আরো অনেক আগে ওই চিন্তা চলে আসতে পারে।  আউটসোর্চিং কি

অনেকের পরিবার কিন্তু এতটাও উচ্চবিত্ত নয়। আবার আমরা যখন ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া করি এবং নিজে যদি কোন কিছু না করে তখন আমাদের বাবা-মার কাছেও টাকা পয়সা চাইত লজ্জা পেতে হয়। লজ্জাটা হয় একটাই কথা ভেবে যে আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী হয়েও বাড়িত থেকে বাবার কাছে থেকে টাকা নিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। আবার দেখবেন অনেক বন্ধুবান্ধব মারা নিজের টাকায় লেখাপড়ার খরচ চালায়।

আমাদের দেশে অনেক ছাত্র-ছাত্রী বা অভিভাবক আছে যারা ভাবে যে অনলাইন থেকে কি সত্যিই টাকা আয় করা যায়??? আসলেই কি অনলাইনে টাকা আয় করা সম্ভব?? যারা এই রকম চিন্তা ভাবনার মধ্যে ডুবে আছেন আমি শুধু আপনাদের বলছি যে, আপনি এখনও বর্তমান সময়ের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে চলতে পারছেন না।

আপনারা কিন্তু এই ডিজিটাল যুগে এসেও অনেক পিছনে পরে আছেন। কারন বর্তমান এই ডিজিটাল সময়ে যে বাংলাদেশেই শুধুমাত্র ঘরে থেকে অনলাইনে ইনকাম করা যায় এটা কারো অজানা নয়। এখন অনেক বাংলাদেশি ভাই বোনেরা ঘরে বসে প্রতি মাসে হাজার হাজার, লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতেছেন।

সবার মনে যে প্রশ্নগুলো থাকে সচরাচর যে,আমি একজন (ছাত্র-ছাত্রী) আমি কি পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করতে পারব???? অথবা আমাকে বাসায় কাজ করতে হয় , বাড়িতে কাজের পাশাপাশি আমি কি টাকা ইনকাম করতে পারবো?? আমি বলবো আপনি অবশ্যই পারবেন,কেনো পারবেন না, চেষ্টা করলে সব সম্ভব।

অনলাইন থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ উপায়

অনলাইন থেকে কিভাবে টাকা আয় করা করবেন সে সম্পর্কে কিছু ধারণা নিচে জানিয়ে দিলাম .

নিচের বিষয়গুলো থেকে আপনি আপনার ইচ্ছামত যদি এক বা একের অধিক বিষয় সিলেক্ট করে নিয়ে কাজ করা শুরু করেন তাহলে আমি আশা করি সেখান থেকেই আপনি ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন। আপনাদের সবার জন্য আমি চেষ্টা করছি অনলাইনে আয় এর সবচেয়ে সহজ বিষয়গুলো জানিয়ে দিতে। 


জনপ্রিয় মাধ্যম ইউটিউব থেকে ইনকাম

 ইউটিউব এটা একটা গুগল ভিত্তিক প্লাটফর্ম আর এর সাথে কিন্তু আমরা সবাই পরিচিত ।ইউটিউব ব্যবহার করেনা এরকম মানুষ খুবই কম।কারন ইউটিউবে আমরা কিন্তু নিত্য নতুন যেকোনো প্রয়োজনে বা অবসর সময় কাটানোর জন্যই অনেকেই অনেক রকম ভিডিও দেখি। 

আচ্ছা আপনারা কি একবারও ভেবেছেন ইউটিউবে যারা ভিডিও পোস্ট করে কি লাভ হয় তাদের??? কেন তারা ভিডিও করছে নতুন নতুন? আমাদের প্রায় ৯০& লোকেরই ইউটিউব থেকে আয় সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। কেউ কিন্তু স্বার্থ ছাড়া কিছু করেনা, অবশ্যই তারা নিজেদের স্বার্থের জন্যই নিত্য নতুন ভিডিও পোস্ট করে। চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করবেন

আমরা যখন মোবাইলে বা কম্পিউটারে ইউটিউবের ভিডিও দেখি এবং ভিডিও দেখার মাঝে বিভিন্ন কোম্পানির এ্যাড আসে । এখানে আসলে ইউটিউবে যারা বিভিন্ন ভিডিও পোস্ট করে মানে ইউটিউবাররা এই এ্যাড থেকেই টাকা আয় করে।

ইউটিউবের মাধ্যমে ইনকামের জন্য ইউটিউব কতৃপক্ষ কিছু Rules and regulation দিয়েছে। এখানে ইউটিউব এর সমস্ত বিধি নিষেধ গুলো মেনে ভিডিও পোস্ট করার মাধ্যমে এক বছরে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার আর চার হাজার ঘন্টা ভিউ করাতে হবে আপনার চ্যানেলের ভিডিওতে। 

তারপর আপনি ইউটিউব এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে আপনার ইউটিউব ভিডিও গুলো ভাইরাল করার চেষ্টা করতে হবে কারণ আপনার চ্যানেলের একটি ভিডিও যদি ভাইরাল হয় আপনি ভাবতেও পারবেন না সেখান থেকে আপনি কতটা ইনকাম করতে পারবেন 


আপনারা চাইলে ব্লগিং করে ইনকাম করতে পারবেন

 আমরা ব্লগিং বলতে আসলে লেখালেখি করা বুঝি ।এর অর্থ হলো কোনো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লেখালেখি করে ইনকাম করাই হলো ব্লগিং। অনেকে এটাকে অনলাইনে টাইপ করে ইনকাম করার মাধ্যমও বলেন। লেখালেখি বা টাইপিং মানে ব্লগিং বর্তমানে প্রচুর জনপ্রিয় একটি মাধ্যম অনলাইন থেকে ইনকাম করার।


প্রতিনিয়ত ব্লগিং এর দিকে মানুষদের আকর্ষণ বাড়ছে। এর মুল কারণ হলো ব্লগিং এ কম কষ্ট করে অনেক টাকা আয় করা যায়। আমাদের দেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশের অনেক মানুষ আছে যারা তাদের অবসর সময়ে এই ব্লগিং করে থাকেন।অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীরাও ব্লগিং করতে পারে। এবং তার জন্য শুধুমাত্র লেখালেখি করার অভিজ্ঞতা থাকলেই সে ইনকাম করতে পারবেন আশা করা যায়।আর যারা বই লিখতে পছন্দ করেন আমি মনে করি এটা সত্যি দারুন একটা কাজ তাদের জন্য। এবং এই কাজটি ছাত্র ছাত্রীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি কাজ। এবং অনেকেই মা বোনেরা আছেন যারা বাড়িতে অবসর সময় কাটান আপনারা কিন্তু ঘরে বসেই ব্লগিং করে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারেন। এবং যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীজীবী আছেন অথবা ছোটখাটো ব্যবসায়ী ভাইয়েরা আছেন তারাও কিন্তু আপনাদের ইচ্ছা মত ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন করতে পারবেন।

লেখালেখি করে ইনকাম করার অনেক মাধ্যম আছে।যার মধ্যে ব্লগিং হচ্ছে বিশাল বড় একটা প্লাটফর্ম। এখানে আপনাকে কোনো টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না আপনি এখানে কোনো টাকা খরচ না করেই ফ্রিতে শুধু একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে ব্লগিং করে টাকা আয় করতে পারবেন ।


এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে লাখ লাখ টাকা আয়

সেক্ষেত্রে কোনো একটি ই-কমার্স কোম্পানির জনপ্রিয় কিছু পন্যের লিংক সংগ্রহ করে প্রোডাক্ট বিক্রি করাকে বলে এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এখন যদি আপনার সংগ্রহ করা লিংক থেকে ক্লিক করে যত বেশি মানুষ সেইপ্রোডাক্টট কিনবে সেই অনুযায়ী আপনার একাউন্টে কমিশন জমা হবে । লেখাপড়ার পাশাপাশি অনলাইন থেকে ইনকামের জন্য এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অন্যতম।  আউটসোর্চিং কি

অনেকেই অনেক সময় প্রয়োজনের জন্য কিভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায় এরকম বিষয় গুগলে সার্চ করে, তাদের মধ্যে অনেকজনই এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে মোটামুটি জানেন এবং আপনি যদি দ্রুত এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে একটি নতুন ওয়েবসাইট বানাতে হবে আপনি চাইলে ফ্রি তেও ওয়েবসাইট বানাতে পারেন অথবা ডোমেইন হোস্টিং কিনেও ওয়েবসাইট বানাতে পারেন এবং ওয়েবসাইটটাকে প্রথমে গুগলে র্্যাংক করাতে হবে। তারপর আপনার সংগ্রহ করা পন্যের ক্যাটাগরি নির্বাচন করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন।

আমাদের দেশে এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য অনেক মার্কেটপ্লেস আছে। তবে সব মার্কেটপ্লেস যে সঠিক ভাবে পেমেন্ট করে তা কিন্তু নয়, আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কোন মার্কেটপ্লেস সঠিক ভাবে পেমেন্ট করে। এজন্য এখানে কাজের পূর্বে আপনাকে সঠিক মার্কেটপ্লেসটা বেছে নিতে হবে আর এটাই বুদ্ধিমানের কাজ। 

তবে আমরা সবাই জানি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য এ্যাফিলিয়েট প্রতিষ্ঠান হচ্ছে অ্যামাজন 

এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে অবশ্যই একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার সম্পুর্ন দায় দায়িত্ব আপনার নিজের। 

যখন আপনার ওয়েবসাইটের গ্রাহক যে পন্যের অর্ডার করবে এবং সেই অর্ডার মোতাবেক আপনাকে তাদের ভালো মানের সার্ভিস দিতে হবে অবশ্যই। ই-কমার্স ব্যাবসার জন্য একটা বিষয় যে, আপনাকে অবশ্যই গ্রাহকের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করে নিতে হবে। 

এই কাজে প্রথমে আপনাকে চিনতেই টারবেনা কেউ। আবার যখন আপনি অতি দ্রুত বেশ জনপ্রিয় হবেন এবং ভালো মানের পণ্য সরবরাহ করবেন দেখবেন সবাই আপনার কাছেই সকল প্রকার পন্য কেনার জন্য লাইন ধরে থাকবে 

এছাড়াও অনলাইন থেকে ইনকাম করার অনেক উপায় আছে যেগুলো পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো, আমার লেখা থেকে যদি কিছু শিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ।।

Reactions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ